আমরা কম বেশি সবাই যাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে তারা ফেসবুককে সাধারণত ম্যাসেজিং, পোস্ট পাবলিশ, ফটো/ ভিডিও আপলোড, লাইক, কমেন্ট, শেয়ারিং এই বিষয়গুলোর কাজেই ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু ফেসবুক জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হিসেবে শুধুমাত্র এই কাজগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটিকে এখন নানান কাজে ব্যবহার করা হয়। ছোট, বড় কিংবা মাঝারি যেকোনো ধরনেই প্রতিষ্ঠানের জন্যই ফেসবুক হল একটি চমৎকার প্লাটফর্ম।
বর্তমানে, সারা বিশ্বে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান এখন ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে নিজেদের ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রচার প্রচারনা চালাতে বা পরিচিতি বৃদ্ধি, অধিক গ্রাহক খুজে পেতে, পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে কিংবা অন্য যেকোনো কারনে।
তাছাড়া ফেসবুকে প্রায় সব ধরনের ফিচারই যুক্ত করা রয়েছে যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা কে সফল ভাবে পরিচালনার জন্য। শুধুমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজেই নয়, বরং কোন ব্যক্তির নিজস্ব পরিচিতি বৃদ্ধি, বা পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং, কিংবা নিজেকে একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেও ফেসবুক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
এখন, চাইলেই যেকেউ ঘরে বসেই ফেসবুকে মাধ্যমে নিজের অনলাইন ব্যবসা দাড় করাতে পারে, অথবা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে ফেসবুক থেকেই অর্থ উপার্জন করতে পারে।
যদিও ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার বিষয়টির সাথে কম বেশি অনেকেই পরিচিত। কিন্তু, ঠিক কি কি উপায়ে এবং কোন পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় সেই বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা।
যাইহোক, এই পোস্ট এ আমরা জানব, ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়, ফেসবুকে টাকা আয় করার সেরা উপায় গুলো কি কি এবং কোন বিষয় গুলো অনুসরণ করে সহজেই ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়।
১। পণ্য বিক্রি করে আয়
অনলাইনে পণ্য বা সেবা বিক্রি করার কাজটিকে ফেসবুক অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। এখন যেকেউ চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
ফেসবুকে যেহেতু প্রচুর ব্যবহারকারী রয়েছে, সেহেতু খুব সহজেই যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য কাস্টমার তথা উপযুক্ত গ্রাহক খুজে পাওয়া সহজ হয়। অর্থাৎ, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষের কাছে তথ্য তুলে ধরার জন্য বা ব্যবসার পরিচিতি বৃদ্ধির উপযুক্ত মাধ্যম হল ফেসবুক।
বর্তমানে ছোট, বড়, মাঝারি প্রায় সব ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পরিচিতি বৃদ্ধি এবং অধিক গ্রাহক আকৃষ্ট করছে।
সুতরাং, আপনি চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার তৈরি করা কোন পণ্য বা সেবা অনলাইনে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে, আপনি চাইলে সরাসরি ফেসবুকের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করে দিতে পারেন, অথবা ফেসবুককে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য অথবা সেবা বিক্রি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ অথবা গ্রুপ খুলতে হবে। এরপর সেই পেজ বা গ্রুপটিকে জনপ্রিয় করা অর্থাৎ মেম্বার বা ফলোওয়ার বৃদ্ধি করতে হবে। তারপর আপনি আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা তহা বিক্রি করে দিতে পারেন।
তাছাড়া, বর্তমানে প্রচুর ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ রয়েছে, যেগুলোতে যুক্ত হয়েও পণ্য বিক্রি করা যায়। অর্থাৎ, ফেসবুকে এমন অনেক Local Buy and Sell গ্রুপ বা পেজ আছে , যেগুলোতে আপনি যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্যগুলোকে বিক্রি করে দিতে পারেন।
ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় করার আরেকটি চমৎকার অপশন হল ফেসবুক মার্কেটপ্লেস। এটিকে ব্যবহার করেও আপনার পণ্যগুলোকে গ্রাহক দের কাছে পোঁছে দিতে পারবেন। আর এটি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ ফ্রি এবং যেকেউ চাইলে এটিকে ব্যবহার করে ফেসবুকে বিজনেস শুরু করতে পারে।
২। ফেসবুক ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার আরেকটি সেরা উপায় হল ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়। মূলত, ফেসবুকে Video Monetization এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।
ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে যেমন গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি ফেসবুক কর্তৃক ভিডিওতে In-Stream Ads বা Advertisements দেখানোর বিনিময়ে কমিশন দেয়া হয়।
এক্ষেত্রে, ফেসবুক ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করার জন্য আপনার একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর পেজটিতে আপলোড করা ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য Facebook Video Monetization এর জন্য আবেদন করতে হবে।
ফেসবুক ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ফেসবুক কর্তৃক বেশ কিছু নির্দেশাবলী বা নিয়মকানুন রয়েছে, যেগুলো সঠিক ভাবে পূরণ হওয়ার সাপেক্ষেই ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করা যাবে।
এর মধ্যে প্রধান যে বিষয় গুলো যেমন অবশ্যই পেজ থেকে ভিডিও পাবলিশ করতে হবে, পেজে নুন্যতম ১০ হাজার ফলোওয়ার থাকতে হবে, ভিডিওর দৈর্ঘ্য ১ মিনিট এর বেশি হতে হবে, এবং ভিডিওগুলোকে অবশ্যই ফেসবুক Partner Monetisation Policies এর আওতায় পাবলিশ করতে হবে।
এগুলো ছাড়াও, আরও বেশ কিছু Requirements রয়েছে ভিডিওগুলোকে Monetisation এ নিয়ে আসার জন্য বা বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য।
তবে, ভিডিওর বিজ্ঞাপন থেকে কি পরিমাণ আয় হবে বা Revenue Generate হবে সেটি অনেকটা নির্ভর করবে আপনার কন্টেন্ট কোয়ালিটি বা ভিডিও টপিক এবং কারা বিজ্ঞাপনদাতা।
৩। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং/ ফেসবুক মার্কেটিং
বর্তমানে অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা ইকমারস প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের পণ্য বা সেবার ওপর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে। অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়ে সেই সকল প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু কমিশন পাওয়া যায়।
চাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও দারুন ভাবে টাকা আয় করা যায়। সেজন্য আপনাকে প্রথমে কোন একটি প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট এর সাথে অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হিসেবে যুক্ত হতে হবে যারা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে।
এক্ষেত্রে, আপনার একটি ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ তৈরি করতে হবে এবং সেখানে পর্যাপ্ত ফলোওয়ার থাকতে হবে, যাদের কাছে আপনি প্রোডাক্ট গুলো অফার করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য চাইলে আপনি একটি ওয়েবসাইটকেও ব্যবহার করতে পারেন এবং সেই ওয়েবসাইটে ফেসবুক থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর নিয়ে এসে আপনার সেই অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করতে পারেন।
এছাড়া, আপনি নিজেই যদি আপনার তৈরি করা কোন প্রোডাক্ট ফেসবুকের মাধ্যমে সবার কাছে প্রচার করতে এবং অধিক গ্রাহক আকৃষ্ট করতে চান, সেক্ষেত্রে ফেসবুকে পেইড ক্যাম্পেইন তথা Facebook Marketing শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে, ফেসবুক মার্কেটিং এর টুলস গুলোর ব্যবহার সঠিক ভাবে জানা থাকতে হবে। এতে করে খুব সহজেই নিজের বিজনেস এর জন্য অধিক পরিমাণ বিক্রয় এবং গ্রাহক খুজে পেতে সুবিধা হবে।
৪। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
আপনি যদি ফেসবুক সঠিক ভাবে পরিচালনা করায় পারদর্শী হন এবং ফেসবুকের যাবতীয় কাজ গুলো করতে আপনার ভালো লাগে তাহলে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার বিনিময়ে টাকা আয় করতে পারেন।
অনলাইনে প্রচুর ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো পরিচালনা করার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। যারা মূলত সেই সব ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যেমন Facebook, Instagram, Twitter, Pinterest ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট গুলো ম্যানেজমেন্ট করে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা সাধারণত যেসব কাজ গুলো করে থাকে, যেমন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট করা, বিভিন্ন ধরনের পেজ বা গ্রুপ পরিচালনা করা, নিয়মিত পোস্ট লেখা ও পাবলিশ করা, গ্রাফিকস ডিজাইন করা, ম্যাসেজিং, ফলোওয়ার বৃদ্ধি করা বা নতুন Audiences তৈরি করা, পেইড ক্যাম্পেইন পর্যালোচনা করা ইত্যাদি বিষয় সহ আরও বেশ কিছু ধরনের কাজ গুলো করতে হয়।
আপনার যদি এই সব বিষয় গুলো করতে ভালো লাগে বা এই বিষয় গুলোতে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠান এর জন্য এইসব সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে যেমন fiverr, Upwork এ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সম্পর্কিত কাজ পাওয়া যায়, চাইলে এসব সাইট থেকে বিভিন্ন ক্লাইন্ট এর কাজ করা যেতে পারে, অথবা লোকাল কোন প্রতিষ্ঠান সাথে যুক্ত হয়েও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে টাকা আয় করতে পারেন।
৫। Influencer মার্কেটিং
অনলাইনে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানকেই পাওয়া যাবে যারা প্রতিনিয়তই তাদের বিজনেসকে প্রসারিত করার জন্য বা নিজেদের ব্র্যান্ড পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোতে Influencer দের দ্বারস্থ হয়।
সাধারণত, যারা Influencer তারা সেইসব প্রতিষ্ঠানের হয়ে নিজেদের প্রোফাইল গুলোতে প্রতিষ্ঠানের কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে পোস্ট পাবলিশ করা বা স্পন্সর পোস্ট করে থাকে একটি বিনিময় প্রথার মাধ্যমে। এতে করে সেই প্রতিষ্ঠানের যেমন লাভ হয় ঠিক তেমনি এই কাজের বিনিময়ে Influencer রাও অর্থ উপার্জন করতে পারে।
এই কাজটি অনেকটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতই। তবে এই কাজটি করার জন্য Influencer দের প্রোফাইল, পেজ বা গ্রপগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ফলোওয়ার থাকতে হয় এবং সেই সব ফলোওয়ারদের কাছে নিজেকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি বৃদ্ধি কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হয়।
অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোশন ছাড়াও, Influencer রা নিজেদের তৈরি করা কোন পণ্য, সেবা বা দক্ষতাকেও প্রচার করার মাধ্যমে আয়ের একটি পথ তৈরি করে নিতে পারে।
সুতরাং, ফেসবুকে আপনারও যদি খুব ভালো জনপ্রিয়তা থাকে, এবং নিজেকে একজন Influencer হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে Influencer Marketing এর মাধ্যমে ফেসবুক থেকে সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন।
যাইহোক, এতক্ষণ যেসব উপায় গুলোর কথা আলোচনা করা হল এই সব উপায় ছাড়াও আরও বেশ কিছু উপায় রয়েছে ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার। যেমন, আপনার যদি পুরাতন কোন ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ থাকে এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণ ফলোওয়ার থাকে, তাহলে সেই পেজ বা গ্রুপ বিক্রি করে দেয়ার মাধ্যমেও টাকা আয় করা যেতে পারে।
এছাড়াও, আপনি যদি একজন ফেসবুক মার্কেটিং এ এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার এই স্কিলটিকে ব্যবহার করে অন্যান্য ব্যবহারকারী কিংবা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং এর কাজ করে দেয়ার মাধ্যমেও অতিরিক্ত আয়ের পথ তৈরি করে নিতে পারেন।
শেষ কথা
চাইলে যেকেউ বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুক থেকে টাকা আয় এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। যেহেতু ফেসবুকে টাকা আয় করার অনেক গুলো উপায় বা পদ্ধতি রয়েছে, তাই টাকা আয় করার জন্য প্রয়োজনে ফেসবুকে টাকা আয় করার অন্যান্য উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে।
তাছাড়া ফেসবুকে প্রচুর ফিচার বা অপশন যুক্ত করা রয়েছে বিভিন্ন কাজের জন্য, যেমন ফেসবুক পেজ তৈরি করা থেকে শুরু করে, গ্রুপ পরিচালনার টুলস, ফেসবুক মার্কেটিং বা পেইড ক্যাম্পেইন টুলস ইত্যাদিসহ আরও অনেক। আর এসব ফিচারকে সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে যেকেউ চাইলে নিজের জন্য কিংবা ব্যবসা বাণিজ্যের কাজে ফেসবুককে একটি উপযোগী মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগাতে পারে।
তবে ফেসবুকে চাইলেই রাতারাতি টাকা আয় করা যায়না, টাকা আয় করতে হলে যথেষ্ট ধৈর্য এবং পরিশ্রম এর দরকার হবে। এক্ষেত্রে, প্রয়োজনে কিছুটা স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করে তারপর সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুকে অর্থ উপার্জনের একটি পথ তৈরি করা যেতে পারে।
0 Comments